গাজীপুর নাওজোড় এলাকা হইতে সরকারী কাবিখার ১৭ (সতের) টন (৩৪০ বস্তা) গম সহ ০২ জন কালোবাজারি গ্রেফতার।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকা
১।র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে এ পর্যন্ত অপহরণকারী, সন্ত্রাসী, এজাহারনামীয় আসামী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, প্রতারকচক্র, মাদক ব্যবসায়ী, কালবাজারী, চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২।এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ইং ২৭ জুন ২০২০ তারিখ গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় র্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানী, পোড়াবাড়ী ক্যাম্প, গাজীপুর এর নিয়মিত চেক পোষ্ট ডিউটি চলাকালীন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানিতে পারেন যে, অসাধু ও কালোবাজারি কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির গম কালীগঞ্জ খাদ্য গুদাম হইতে ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-৬৪১১ ট্রাকে করিয়া কালবাজারে বিক্রি করার জন্য কালীগঞ্জ হইতে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে নিয়া যাইতেছে। পরবর্তীতে সকাল ১০.১৫ ঘটিকার সময় র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল জিএমপি গাজীপুর বাসন থানাধীন নাওজোড় বাইপাস মোড় সাকিনস্থ মেসার্স আউসি ফিলিং ষ্টেশন এর সামনে পাঁকা রাস্তার উপর চেক পোস্ট বসাইয়া অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে ট্রাক ভর্তি ৩৪০ বস্তা সরকারী গম যাহার ওজন ১৭ টন মূল্য ৫,৩৩,৪৪৩/- (পাঁচ লক্ষ তেতএিশ হাজার চারশত তেতাল্লিশ) টাকা উদ্ধার করে এবং আসামী ১। মোঃ শফিকুল ইসলাম@লিটন (৪০), পিতা-মৃত সেকান্দর আলী, মাতা-মৃত কোহিনুর বেগম, সাং-উত্তর রুনসি, থানা-বাকেরগঞ্জ, জেলা-বরিশাল,এ/পি সাং-ভাওয়াল কলেজের দক্ষিণ পার্শ্বে সরকার বাড়ী মোড়, নুর ইসলাম সরকারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা-বাসন, জিএমপি, গাজীপুর, ২। মোঃ হাফিজুর রহমান (১৮), পিতা-মোঃ আব্দুর রহিম, মাতা-মোসাঃ হেলেনা বেগম, সাং-চর কয়ড়া, থানা-ভুয়াপুর, জেলা-টাঙ্গাইলদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে ফোর্সের সহায়তায় আসামীদ্বয়ের দেখানো মতে তাদের দখল হইতে উদ্ধারকৃত সর্বমোট ৩৪০(তিনশত চল্লিশ) বস্তা সরকারী খাদ্য অধিদপ্তরের গম, ০১(এক) টি ট্রাক যাহার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-৬৪১১, নগদ ১৮,৫০০/-(আঠার হাজার পাঁচশত) টাকা এবং ০২ (দুই) টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে পরস্পর যোগসাজসে কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচির সরকারী খাদ্য গুদামের গম কালোবাজারে কেনাবেচা ও মজুদ করার উদ্দেশ্যে ৩৪০ (তিনশত চল্লিশ) বস্তা গম টাঙ্গাইল নিয়া যাচ্ছিল বলিয়া স্বীকার করে। ধৃত আসামীরা আটককৃত ট্রাকে করিয়া দীর্ঘদিন ধরিয়া সরকারী কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসুচীর জন্য প্রদত্ত গম কালো বাজারীর মাধ্যমে সংগ্রহ করিয়া টাঙ্গাইল জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মজুদ করত বেশী দামে বিক্রয়ে করিয়া আসিতেছে।
৩।উদ্ধারকৃত কাবিখার গম, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা এবং গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।